মোছাদ্দিকুর রহমান মুছা:
গাজীপুর সদর থানাধীন বাহাদুরপুর মৌজাস্থিত গজারিয়াপাড়ার মো:আব্দুল মালেক ও আব্দুল হালিমের ক্রয়কৃত ১৮ শতাংশ জমিতে রাতের আধারে কে বা কারা এই জমির মালিক ফটিস গ্রুপ নামক সাইনবোর্ড টানিয়ে এলাকায় ত্রাসের সৃষ্টি করে । জমির প্রকৃত মালিকগণ দূরবর্তী এলাকায় বসবাস করার কারনে তাৎক্ষনিক টের না পাওয়ায় একই কায়দায় রাতের আধারে ঐ জমিতে বা্উন্ডারি ওয়াল দেওয়ার অব্যর্থ চেষ্ঠায় লিপ্ত থাকে জবর দখলকারীরা । পরবর্তীতে জমির প্রকৃত মালিকগন লোক মারফত ঘটনা জানতে পারলে তাৎক্ষনিক অত্র এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তিদের অবহতি পূর্বক অবৈধ স্থাপনা ভাঙ্গিয়ে ফেলেন । এহেন পরিস্থিতিতে এলাকায় থমথমেভাব বিরাজ করছে ।এদিকে এলাকার প্রভাবশালী,মামলাবাজ হিসেবে খ্যাত,পরস্পর যোগসাজসে ভুয়া দলিল তৈরি করে উক্ত জমি পাওয়ার অজুহাত দিয়ে ফটিস গ্রুপের সাইনবোর্ড লাগিয়ে জমি দখলের অব্যর্থ চেষ্ঠা চলমান রেখেছে । ক্রয়সূত্রে,গত ৩০ বছর যাবৎ ভোগ দখলীয় জমির প্রকৃত মালিক
ভুক্তভোগী আব্দুল মালেক (৫৬) ও আব্দুল হালিম (৪৪) দাবি করে জমিটি নিয়ে আদালতে মামলা করে নিজের পক্ষে রায়ও পেয়েছেন। সংবাদ সম্মেলন করে আব্দুল মালেক সাংবাদিকদের জানায় যে,গাজীপুর সদর থানাধীন বাহাদুরপুর মৌজাস্হিত গজারিয়াপাড়া সাকিনে এস এ-২৩৯,আর এস-৮৭ নং খতিয়ানে এস এ-৩২১ আর এস-৭৭৫ নং দাগে ১৮ শতাংশ জমি আমি ও আমার সহোদর ভাই আব্দুল হালিম(৪৪) দ্বয় সাফ কবলা দলিল মূলে ক্রয় করিয়া হালনাগাদ খাজনা পরিশোধক্রমে খারিজ মূলে মালিক হিসেবে দীর্ঘ প্রায় ৩০ বৎসর যাবৎ তথায় স্থাপনা নির্মাণপূর্বক এলাকার জ্ঞাতসারে ভোগ দখলে নিয়ত আছেন।
বেশ কিছুদিন যাবৎ বিবাদী ১.নাজমুল হক(৩৯) ২.সামসুল হক(৫৬) উভয়ের পিতা মৃত হযরত আলি ৩.খায়রুল ইসলাম(৩৩) পিতা সামসুল হক সর্বসাং বাহাদুরপুর ৪.আব্দুল করিম (৩১) পিতা জমসের আলি ৫.মুক্তার হোসেন(৪১) পিতা অজ্ঞাত সর্বসাং গজারিয়াপারা আরও অজ্ঞাত ১০/১৫ জন সন্ত্রাসী ও চাঁদাবাজ প্রকৃতির লোকসহ অন্যায় ভাবে মারপিট করে খুনের হুমকি দিয়ে ফটিস গ্রুপ জমির মালিক দাবি করে জমিতে সাইনবোর্ড লাগিয়ে দেয়।উল্লেখ্য বিবাদীগনের বিরোদ্ধে একাধিক জি আর এবং সি আর মামলা রয়েছে । উক্ত নালিশী জমি সংক্রান্ত বিজ্ঞ সহকারি জজ অতিরিক্ত আদালত গাজীপুর-এ দেওয়ানী মোকদ্দমা নং-৫৮/২০১৪ সহ জিএমপি সদর মেট্রো থানায় মামলা নং-২২ তাং-১৭/১০/২০১৮ ইং সদর থানার মামলা নং-০৩ তাং-০২/০৭/২০১৯ ইং রুজু করিলেও বিবাদীগণের পূর্ববৎ অন্যায় আচরণ অব্যাহত থাকে।দেওয়নী মোকদ্দমায় মাননীয় আদালত বিবাদীদের বিরুদ্ধে উক্ত জমিতে অনুপ্রবেশের স্থায়ী নিষেধাজ্ঞা প্রদান করিলেও বিবাদীরা কাহারও পরোয়া না করিয়া বেআইনি ও জোরপূর্বক ভাবে অবৈধ স্হাপনা নির্মাণের উদ্যোগ নেয়।নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় এক বাসিন্দা জানান,বহুবছর আগে তমিজ উদ্দীনের ছেলেরা এই জমি বাদশা মিয়ার থেকে কিনেছিল।আজ থেকে প্রায় ৩০-৩৫বছর আগের কথা,সেই সময় থেকেই তারা ভোগদখল করে আসছে ।এই ব্যাপারে গাজীপুর সদর মেট্রো থানার ওসি মো: আলমগীর ভূইয়া বলেন,অভিযোগ পাওয়া গেছে,বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।